Connect with us

recipe

শীতে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা

Published

on

শীতে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা

শীতে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা খাওয়ার একটি বিশেষ আনন্দ রয়েছে। শীতের মৌসুমে নানা ধরনের পিঠা তৈরি হয়, যেগুলোর মধ্যে কিছু সহজেই ঘরেই তৈরি করা যায়। এখানে শীতের জনপ্রিয় ৭টি পিঠার নাম এবং সেগুলো তৈরি করার সহজ পদ্ধতি দেওয়া হলো:

১. পালং পিঠা

উপকরণ:

  • চালের গুঁড়া ১ কাপ
  • পানি ১/২ কাপ
  • তেল ২ টেবিল চামচ
  • গুড় ১ কাপ
  • নারিকেল কুচি ১/২ কাপ

প্রণালী: ১. চালের গুঁড়া, পানি, তেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। 2. মিশ্রণটি গরম তেলে দিয়ে গোল করে সেঁকুন। 3. গুড় গলিয়ে নারিকেল কুচি দিয়ে মিষ্টি তৈরি করুন। 4. সেঁকা পিঠার ভেতরে মিষ্টি ভরে পরিবেশন করুন।

২. রুই পিঠা

উপকরণ:

  • চালের গুঁড়া ১ কাপ
  • তেল ২ টেবিল চামচ
  • মিষ্টি গুঁড়া ১/২ কাপ
  • নারিকেল কুচি ১/২ কাপ

প্রণালী:

  1. চালের গুঁড়া মেশান গরম পানিতে।
  2. তেল দিয়ে গোল গোল সেমাই আকারে তৈরি করুন।
  3. নারিকেল কুচি ও মিষ্টি গুঁড়া দিয়ে ভিতরে ভরে পিঠাগুলি সেঁকুন।

৩. চিড়া পিঠা

উপকরণ:

  • চিড়া ২ কাপ
  • দুধ ২ কাপ
  • গুড় ১ কাপ
  • খোয়া (ঐচ্ছিক) ১/২ কাপ

প্রণালী: ১. চিড়া পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। 2. দুধ গরম করে গুড় ও খোয়া মেশান। 3. চিড়াকে দুধের মিশ্রণে ভেজে পরিবেশন করুন।

৪. নকশি পিঠা

উপকরণ:

  • চালের গুঁড়া ১ কাপ
  • গুড় ১ কাপ
  • তেল ১ টেবিল চামচ
  • ময়দা ১/২ কাপ
  • নারিকেল কুচি ১/২ কাপ

প্রণালী:

  1. চালের গুঁড়া ও ময়দা মিশিয়ে পিঠা বানান।
  2. ভেতরে গুড়, নারিকেল কুচি ও মিষ্টি মিশিয়ে পুর করুন।
  3. মৃদু আঁচে সেঁকুন এবং পরিবেশন করুন।

৫. পিঠা মোয়া

উপকরণ:

  • চালের গুঁড়া ১ কাপ
  • নারিকেল কুচি ১/২ কাপ
  • গুড় ১ কাপ
  • মাখন ২ টেবিল চামচ

প্রণালী:

  1. চালের গুঁড়া ও নারিকেল কুচি মিশিয়ে মাখুন।
  2. গুড় গলিয়ে মাখন দিয়ে মিশ্রণটি গড়িয়ে মোয়া বানান।
  3. সেঁকে পরিবেশন করুন।

৬. ভাপা পিঠা

উপকরণ:

  • চালের গুঁড়া ২ কাপ
  • নারিকেল কুচি ১ কাপ
  • গুড় ১ কাপ
  • পানি ১ কাপ

প্রণালী:

  1. চালের গুঁড়া মিশিয়ে মিঠাই বানান।
  2. ভাপা দিয়ে পরিবেশন করুন।

৭. শিঙাড়া পিঠা

উপকরণ:

  • ময়দা ১ কাপ
  • আলু ২টি (সিদ্ধ)
  • মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ
  • তেল ১ কাপ

প্রণালী:

  1. আলু সিদ্ধ করে মসলা মিশিয়ে পুর তৈরি করুন।
  2. ময়দায় পুর ভরে শিঙাড়া বানিয়ে তেলে ভাজুন।

এগুলো শীতে সহজেই তৈরি করা যায় এবং বেশ সুস্বাদু।

Continue Reading

recipe

জালপাইয়ের আচার

Published

on

By

জালপাইয়ের আচার

জালপাইয়ের আচার: এক অপ্রতিম স্বাদের রহস্য উদঘাটন

ভূমিকা: জালপাইয়ের আচার, যা ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি বাড়ির একটি অনিবার্য অংশ, সেই অতি পরিচিত স্বাদ যা আমাদের শিশুকাল থেকে বড়দের ঘরে থাকাকালীনও মুগ্ধ করে রেখেছে। এই আচারকে চাহিদার শীর্ষে রাখতে যে রহস্যময় উপাদানগুলো লুকিয়ে আছে, আজ তা নিয়ে একটু বিশদে আলোচনা করব।

জালপাইয়ের আচার তৈরির প্রক্রিয়া: উপকরণ:

  • কাঁচা জালপাই – ১ কেজি
  • সরিষার তেল – ২০০ গ্রাম
  • লবণ – পরিমাণ মত
  • হলুদ গুঁড়া – ১ চা চামচ
  • লাল মরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ
  • সরিষার গুঁড়া – ২ টেবিল চামচ
  • চিনির গুঁড়া – ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)

পদ্ধতি: ১. প্রথমে কাঁচা জালপাইগুলি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করুন এবং ছোট টুকরো করে কাটুন। ২. একটি বড় পাত্রে জালপাই, হলুদ গুঁড়া, লাল মরিচ গুঁড়া, সরিষার গুঁড়া এবং লবণ ভালো করে মেশান। ৩. একটি কড়াইতে সরিষার তেল গরম করে তা ঠাণ্ডা হতে দিন। ৪. ঠাণ্ডা তেল মিশ্রণটি জালপাইয়ে যোগ করুন এবং ভালোভাবে মেশান। ৫. সমস্ত মিশ্রণকে একটি পরিষ্কার কাচের বোতলে ভরে রোদে ২-৩ দিন রাখুন। রোদে রাখার ফলে জালপাইগুলো ভালোভাবে নরম হবে এবং স্বাদ উন্নত হবে। ৬. এরপর বোতলটি ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন।

আচার খাওয়ার পরামর্শ: এই আচার আপনি ভাত, রুটি বা পরোটার সাথে খেতে পারেন। যে কোনও ধরণের তরকারির সাথে এটা এক অপূর্ব স্বাদ যোগ করবে।

উপসংহার: জালপাইয়ের আচার আমাদের রসনার একটি অপরিহার্য অংশ। এর স্বাদ ও পুষ্টিগুণ একে একটি সম্পূর্ণ খাবার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আপনার যদি কখনও একটু ব্যতিক্রমী স্বাদের অভিজ্ঞতা নিতে ইচ্ছে করে, তবে অবশ্যই জালপাইয়ের আচার চেষ্টা করে দেখুন।

 

 

Continue Reading

Title

Trending